ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসে প্রশ্ন সারজিসের

 

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন মহলে তাকে নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 


‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এক বিবৃতিতে প্রশ্ন তুলেছেন, ফারুকীর মতো কেউ উপদেষ্টা পরিষদে কীভাবে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ফারুকী ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন এবং কোনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি। তার মতে, যারা আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করেনি, তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা উচিত নয়। 


সারজিস আরও বলেন, “আমরা দেখেছি ফারুকী সরকারের কাছে থাকতে তোষামোদি করেছেন। বিগত ৩৬ জুলাইয়ের সময় আন্দোলনে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে, তাদের পক্ষেও তিনি অবস্থান নেননি। তার সমস্ত কার্যকলাপই ছিল ক্ষমতার কাছে থাকার জন্য তোষামোদ করা।”  


তিনি উল্লেখ করেন, “যারা কঠিন সময়ে নীরব ছিলেন এবং নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলেছেন, তারা কোনোভাবেই আন্দোলনের স্পিরিট ধারণ করতে পারেন না। যারা সামগ্রিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সৎ সাহস দেখিয়ে রাজপথে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন, তাদেরই সরকারের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার রয়েছে।”  


সারজিস তার বক্তব্যের শেষ দিকে বলেন, “সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করবো এবং সীমাবদ্ধতাগুলো সরাসরি তুলে ধরবো। তবে যারা আন্দোলনের সময় সাহস দেখিয়েছেন, তাদেরই উচিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা।”

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url