দে..হব্যবসা থেকে প্র..তারণার অভিযোগ, জেলও খেটেছেন এই ৪ সুন্দরী

 

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি মানেই গ্ল্যামার, বিলাসিতা, এবং চমকপ্রদ জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। রুপোলি পর্দার অভিনেত্রীরা সাধারণত তাঁদের সৌন্দর্য এবং প্রতিভার জন্য পরিচিত। তবে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁদের নাম একসময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়েছে। এদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার পেছনে লুকিয়ে আছে অন্ধকার দিকও। আসুন, এক নজরে দেখে নিই বলিউডের এমন কিছু অভিনেত্রীর গল্প, যাঁরা কখনও না কখনও জেলের মুখ দেখেছিলেন।  


### মধুবালা (Madhubala)  

ষাটের দশকের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী মধুবালা, যাঁর রূপ আজও বলিউড প্রেমীদের মুখে মুখে। কেউ কেউ তাঁর চেহারার সঙ্গে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মিল খুঁজে পান। তবে জানেন কি, ১৯৫৭ সালে মধুবালাকে জেলে যেতে হয়েছিল? এক প্রযোজক তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগ ছিল, মধুবালা একটি ছবির জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে পরে তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং কিছুদিন জেলে থাকতে হয়।


### সোনালী বেন্দ্রে (Sonali Bendre)  

সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের জন্য পরিচিত সোনালী বেন্দ্রেও একবার আইনি ঝামেলায় পড়েন। একটি ফটোশুটে হলুদ কুর্তা পরার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই কুর্তায় লেখা ছিল ‘ওম নমঃ শিবায়’, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে অভিযোগ ওঠে। এর ফলে সোনালীকে জেলে কাটাতে হয়েছিল কিছুদিন।  


### মনিকা বেদী (Monica Bedi)  

বলিউড এবং টিভি জগতের পরিচিত মুখ মনিকা বেদীর জীবনে বড় বিতর্ক আবু সালেম নামের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে। ২০০২ সালে তাঁকে এবং আবু সালেমকে কালোবাজারি ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এর ফলে মনিকাকে জেলের ঘানি টানতে হয়েছিল।  


### শ্বেতা বসু (Sweta Basu)  

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু, যিনি শিশু শিল্পী হিসেবে ‘মাকড়ি’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন। তবে তাঁর জীবনেও এক অন্ধকার অধ্যায় আসে। টাকার অভাবে তিনি পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবং একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার হন। এই অপরাধে তাঁকে দুই মাসের জেল খাটতে হয়েছিল।  


বলিউডের এই রূপকথার মতো জগতের পেছনের অন্ধকার গল্পগুলো মাঝে মাঝে দর্শকদের স্তব্ধ করে দেয়। সাফল্য এবং খ্যাতির সঙ্গে আসে বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও, যা অনেকের জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url