প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না, কিন্তু তার দলেও আমার বন্ধু রয়েছে-ইউনূস
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হওয়ায় তাৎক্ষণিক কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার কোনো সমস্যা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে না। আমি মনে করি, ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিরোধ নেই।”
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তিনি রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট, কোনো দলের প্রতিই বিশেষ পক্ষপাতী নন এবং উভয় দলের নেতাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। এর আগে তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই সময় পর্যন্ত শীর্ষ পদে বহাল থাকবেন।
সম্প্রতি এক টুইটে ট্রাম্প দাবি করেন, “হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতা” তার প্রশাসনের সময় ঘটত না। তিনি বলেন, “কমলা এবং জো বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন। তবে আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শান্তি ফিরিয়ে আনব।”
এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস একে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অপপ্রচার” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের গুজব বেশিরভাগই ভারত থেকে আসে এবং এর কোনো ভিত্তি নেই। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চিত্র সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত।”
তিনি আরও জানান, অনেক সহিংসতার ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে এবং তা ধর্মীয় কারণে নয়। “ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল, তবে বাস্তবে পরিস্থিতি অতটা গুরুতর ছিল না,” যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূসের মতে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার সবসময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে।