তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে একি বলল যুক্তরাজ্য!
**তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা: ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য**
যুক্তরাজ্যের প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে ব্রিটেন সহযোগিতা করবে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ মন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি রূপরেখা ঘোষণা করবেন। এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাশার কথা জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনে চলে যান। সেখানে থেকেই তিনি বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত করে। আদালতের রায়ে তার শাস্তি ঘোষিত হয় এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। আওয়ামী লীগের শাসনের অবসানের পর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জল্পনা বাড়ছে।